শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৯
শিরোনাম :
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৯
এইচ,এম হেলাল ॥ শিক্ষার মানোন্নায়নে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষা অন্যতম। আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে মাধ্যমিক থেকেই শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউয়নিয়নের শোলনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে এর ব্যাতিক্রম। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়ে আইসিটি শিক্ষা থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঐ বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও প্রযেক্টর ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সরকারী এ প্রযেক্টর ভাড়া দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে মাঠে নামে অনুসন্ধান টিম। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যালয়ের একটি ল্যাপটপ ও প্রযেক্টর প্রধান শিক্ষক শ্রী গৌতম কুমার সমাদ্দার তার বাসায় নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক থাকলেও তারা ল্যাপটপ ও প্রযেক্টরের অভাবে ক্লাস নিতে পারছে না। এর ফলে গত কয়েক বছর যাবৎ আইসিটি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়,‘আমরা আইসিটি ক্লাস করি ঠিকই কিন্তু প্রযেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারছিনা। শিক্ষকদের কাছে এ বিষয় জানানো হয়েছে কি না এম প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের যদি আমরা ডিজিটাল ক্লাসের কথা বলি তাহলে তারা বলেন ল্যাপটপ ও প্রযেক্টর নষ্ট। এব্যাপারে একাধিক অভিভাবকরা বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের শিক্ষা লাভের জন্যই আমরা বিদ্যালয়ে পাঠাই কিন্তু তাদের শিক্ষার সরঞ্জাম যদি শিক্ষক তার বাড়িতে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয় তাহলে আমরা কি কারনে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো বুঝতে পারছি না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানাই যাতে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।’ এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী গৌতম কুমার সমাদ্দার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি সত্য না, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে। গত এক দেড় বছর যাবৎ ল্যাপটপ ভালো থাকলেও প্রযেক্টর নষ্ট হয়ে আছে। খুব দ্রুত আমি এটা ঠিক করবো।’ দীর্ঘ এতদিন কেন এগুলো ঠিক করা হয়নি এমন প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে যায় শ্রী গৌতম কুমার সমাদ্দার। এ বিষয়ে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনা সত্যতা যাচাই করে যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply